মূর্তিপূজা: অপব্যাখ্যা ও শাস্ত্রীয় সমাধান

মূর্তিপূজা: অপব্যাখ্যা ও শাস্ত্রীয় সমাধান—১

মূর্তি বা বিগ্রহের মাধ্যমে আরাধনার পন্থা বৈদিক শাস্ত্রে বিভিন্ন স্থানে নির্দেশিত রয়েছে। তবু আমাদের সমাজে কিছু লোক মূর্তিপূজার বিরোধিতা করে। কোমলমতি মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য শাস্ত্রের নানা প্রকার অপব্যাখ্যা দাঁড় করানো হয়। কিন্তু সেগুলোর সঠিক ব্যাখ্যা জানা থাকলে তখন আর বিভ্রান্তির সুযোগ থাকে না। তাই মূর্তিপূজা সম্পর্কিত সেসব অপব্যাখ্যার একাংশ এখানে অমৃতের সন্ধানে প্রকাশন থেকে প্রকাশিত ‘মূর্তিপূজার রহস্য’ গ্রন্থ থেকে উপযুক্ত যুক্তি ও শাস্ত্র প্রমাণের ভিত্তিতে উপস্থাপন করা হলো। এই গ্রন্থে দুটো রূপক চরিত্রের কথোপকথনের মধ্য দিয়ে মূর্তিপূজা সম্পর্কিত সমস্ত বিভ্রান্তির সমাধান রয়েছে।

ন তস্য প্রতিমা অস্তি— কথাটির অপব্যাখ্যার সমাধান

আবির: আমাদের আদি শাস্ত্র বেদে নাকি ঈশ্বর প্রসঙ্গে বলা হয়েছে— “ন তস্য প্রতিমা অস্তি” অর্থাৎ, তাঁর কোনো প্রতিমা নেই। তাহলে আমরা যে ভগবান বা বিভিন্ন দেবদেবীর প্রতিকৃতি, মূর্তি বা প্রতিমা নির্মাণ করে পূজা করি, সেটা কি ঠিক?

স্বামীজি: তুমি যে শ্লোকটির কথা বলছ, এটি বেদের শ্লোক সত্য এবং শ্বেতাশ্বতর উপনিষদেও তার উল্লেখ রয়েছে; কিন্তু তুমি এর যে অর্থ বলছ তা সঠিক নয়। যাদের বেদ সম্বন্ধে যথাযথ ধারণা নেই, তারা যজুর্বেদ ও শ্বেতাশ্বতর উপনিষদের দুটি মন্ত্রের মাঝখানের কিছু অংশ তুলে ধরে এর কদর্থ করে বলে, পরমেশ্বরের কোনো প্রতিকৃতি নেই। তোমরা শিক্ষিত যুবক। একটু ভালোভাবে খেয়াল করলেই বুঝতে পারবে।

সংস্কৃত ‘প্রতিমা’ শব্দটি ‘প্রতিম’ শব্দের সঙ্গে ‘আ’ প্রত্যয়যোগে নিষ্পন্ন।

            প্রতিম = প্রতি + √মা + অ

            প্রতিমা = প্রতি + √মা + অ + আ

‘প্রতিম’ শব্দের অর্থ ‘তুলনীয়’ এবং ‘অপ্রতিম’ অর্থ ‘অতুলনীয়’। ‘প্রতিম’ থেকেই ‘প্রতিমা’ শব্দটি এসেছে। তাই “ন তস্য প্রতিমা অস্তি”— শ্লোকাংশটির অর্থ দাঁড়ায়, তাঁর কোনো তুলনা নেই। আরো ভেঙ্গে বলতে গেলে, তাঁর তুল্য কেউ নেই। তিনি অসমোর্ধ্ব। বর্তমানে বাংলায় প্রতিমা শব্দটি প্রতিকৃতি বা দেবমূর্তি অর্থে ব্যবহৃত হচ্ছে। সেক্ষেত্রেও আমরা দেখতে পাই প্রতিকৃতি কোনো বস্তু বা ব্যক্তির সদৃশ কোনো রূপ ফুটিয়ে তুলতে ব্যবহৃত হয়।

ঠিক যেমন, সন্দেশ শব্দটির ব্যুৎপত্তিগত অর্থ সংবাদ বা খবর। আবার, এর আরেকটি অর্থ মিঠাই বা খাবার বিশেষ। শব্দার্থবিদ্যায় এরকম বহু অর্থের প্রয়োগ দেখা যায়। সংস্কৃতে এমন শব্দের অভাব নেই। একটি উদাহরণ দিলে বিষয়টি স্পষ্ট হবে। যেমন:

সিংহো মৃগেন্দ্রঃ পঞ্চাস্যো হর্ষক্ষ্যঃ কেশরী হরিঃ।

(অমরকোষ, সিংহাদিবর্গ)

শ্রবণা মাধবো বিষ্ণুরচ্যুতঃ কেশবো হরিঃ। (নক্ষত্রাভিধান)

এখানে প্রথম বাক্যে ‘হরি’ শব্দে ‘সিংহ’ ও পরের বাক্যে ‘হরি’ অর্থে ‘ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে’ বোঝানো হয়েছে। এরকম অসংখ্য শ্লোক সংস্কৃতে পাওয়া যাবে। তাই বলে সিংহের স্থলে ভগবান ও ভগবানের স্থলে সিংহের প্রয়োগ করলে নিশ্চয়ই তাকে মূর্খ ছাড়া অন্য কিছু বলা হবে না।

সাধারণ ‘চরণ’ শব্দের কতগুলো অর্থ দেখো- ১. পা ২. কবিতার পঙক্তি ৩. ভ্রমণ ৪. আচরণ। 

আবার ইংরেজির ক্ষেত্রেও এরকম শব্দ পাওয়া যায়। যেমন ‘Kind’ শব্দটির একটি অর্থ ‘দয়ালু’ আরেকটি অর্থ ‘প্রকার’। এরকম সব ভাষাতেই এ ধরনের বহু শব্দ রয়েছে। সংস্কৃতের তো কথাই নেই। সেক্ষেত্রে প্রয়োগের ওপর ভিত্তি করে আমাদের দেখতে হবে যে, কোন অর্থে সেটি ব্যবহৃত হয়েছে।

আবির: অভিধানে ‘প্রতিমা’ শব্দের দুই প্রকার অর্থ পাওয়া যায়। যথা—

১. প্রতিকৃতি, প্রতিমূর্তি, ভাস্কর্য, বিগ্রহ ইত্যাদি এবং

২. তুলনা বা তুল্য, সাদৃশ্য, উপমা ইত্যাদি।

এই দুই প্রকার অর্থের মধ্যে কোনটি উক্ত মন্ত্রের অর্থ নির্ণয়ে যুক্তিযুক্ত তা কীভাবে বুঝব?

স্বামীজি: এই মন্ত্রে ‘প্রতিমা’ শব্দের ‘প্রতিকৃতি বা মূতি’ অর্থ গ্রহণ করলে এর অর্থ দাঁড়ায়— যাঁর নামে মহৎ যশ আছে, তাঁর মূর্তি বা বিগ্রহ নেই।

কিন্তু এ অর্থ সম্পূর্ণ অসঙ্গত, কারণ মূর্তি নির্মাণই যদি যশস্বীদের যশের হানিকর হয়, তাহলে পৃথিবীজুড়ে বিখ্যাত ব্যক্তিবর্গের যেসকল মূর্তি নির্মিত আছে, সেগুলো তাদের দুষ্কৃতির চিহ্ন বলেই বিবেচিত হতো। অথচ আমরা দেখি জগতে হীন ব্যক্তির নয়, যশস্বী ব্যক্তিগণেরই মূর্তি বা ভাস্কর্য নির্মাণ করে রাখা হয়।

দ্বিতীয় অর্থ অনুসারে— যাঁর নামে মহৎ যশ আছে, তাঁর তুল্য বা সাদৃশ্য কেউ নেই।

যশস্বীকে কি একথা বলাই শোভা পায় না যে, আপনার তুল্য আর কেউ নেই? কোন কথাতে যশস্বী খুশি হবেন তা নিজেই বিচার করো।

বাজারে প্রচলিত বেদের অনুবাদগুলো যাচাই করলে দেখবে, দুয়েকজন অর্বাচীন পণ্ডিত ব্যতীত প্রত্যেক অনুবাদকই এই মন্ত্রের ‘প্রতিমা’ শব্দের ‘তুলনা’ অর্থ করেছেন।

আবির: বুঝলাম। কিন্তু উক্ত মন্ত্রে ‘প্রতিমা’ শব্দে ‘তুলনা’ হলেও আমরা কি মূর্তির সঙ্গে ঈশ্বরের তুলনা করছি না?

স্বামীজি: না। তুলনা হয় দুটো ভিন্ন সত্তার মধ্যে। যদি আমরা ঈশ্বর ভিন্ন অন্য কারো মূর্তি নির্মাণ করে বলি যে, তা ঈশ্বরের তুল্য এবং ঈশ্বর হিসেবে সেই মূর্তি পূজা করি, তাহলে তুমি বলতে পারো যে, আমরা ঈশ্বরের সঙ্গে সাধারণ মূর্তির তুলনা করছি। কিন্তু আমরা তো ঈশ্বরেরই শ্রীমূর্তির পূজা করছি। ঈশৎ কালো ঈশৎ নীল বর্ণ দেহ, পদ্মপাঁপড়ির মতো চোখ, স্মিতহাস্য অত্যন্ত সুন্দর মুখমণ্ডল, কুঞ্চিত কেশ, মাথায় ময়ূরপুচ্ছ, গলায় ফুলের মালা, পরনে হলুদ ধূতি, হাতে বাঁশি— এরকম এক ব্যক্তির বিভিন্ন ভঙ্গিমায় অঙ্কিত ছবি দেখে কে চিনতে পারবে না যে সেগুলো কৃষ্ণেরই ছবি? এখানে তো কৃষ্ণের সঙ্গে অন্য কারোর তুলনা করা হচ্ছে না। পরমেশ্বরকে যাঁরা দেখেছেন, তাঁদের দেখা সেই রূপের সুস্পষ্ট বর্ণনা রয়েছে বৈদিক শাস্ত্রে; আর সে অনুসারেই তাঁর প্রতিকৃতি বা শ্রীমূর্তি নির্মাণ করা হয়। সুতরাং এক্ষেত্রে আমরা ঈশ্বরের সঙ্গে অন্য কারোর তুলনা করছি না; তাঁর তুলনা তিনি নিজেই। বিগ্রহরূপে আমরা তাঁরই পূজা করছি। ঈশ্বর যদি এটা জানেন যে, তাঁর তুল্য কেউ নেই এবং পাথরের মূর্তিকে ভগবান ভেবে পূজা করা ভুল, তবে তিনি কি এটা জানেন না যে, সেই পূজার লক্ষ্যবস্তু তিনিই? ঈশ্বরের সমতুল্য কেউ নেই, কিন্তু সর্বশক্তিমারূপে তিনি নিশ্চয়ই সকলের তুল্য হতে পারেন।

“যো বিশ্বস্য প্রতিমানং বভুব” (ঋগ্বেদ ২.১২.৯)

অর্থাৎ, তিনি নিখিল বিশ্বের প্রতিমা। সুতরাং, তিনি চিন্ময় হলেও, জড় রূপে প্রতিভাত হতে পারেন। বেদে তার একাধিক প্রমাণ রয়েছে।

রূপং রূপং প্রতিরূপো বভুব তদস্য রূপং প্রতিচক্ষণায়।

ইন্দ্রো মায়াভিঃ পুরুরূপ ঈয়তে…(ঋগ্বেদ ৬.৪৭.১৮)

“তিনি রূপে রূপে প্রতিরূপ হয়েছেন, তাঁর রূপকে জ্ঞাপনের জন্য, পরম ঐশ্বর্যময় ভগবান তাঁর মায়াশক্তির দ্বারা বহুরূপে প্রকাশিত হন।” বৃহদারণ্যকেও  (২.৫.১৯) একই কথা উল্লেখ করা হয়েছে এবং বলা হয়েছে যে, এটাই বেদের উপদেশ।

অগ্নির্যথৈকো ভুবনং প্রবিষ্টো রূপং রূপং প্রতিরূপো বভুব।

একস্তথা সর্বভূতান্তরাত্মা রূপং রূপং প্রতিরূপো বহিশ্চ।।

“অগ্নি যেমন এক হয়েও ভুবনের মধ্যে প্রবেশ করে রূপে রূপে বহুরূপ হয়ে নিজেকে ধরা দিয়েছেন, তেমনি সর্বভূতের অন্তরস্থ পরমাত্মা এক হয়েও বাহির অবধি ভিন্ন ভিন্ন রূপ গ্রহণ করেছেন।” (কঠঃ ২.২.৯)

নমস্তে দেবদেবেশ শঙ্খচক্রগদাধর। ভক্তেচ্ছোপাত্তরূপায় পরমাত্মন্! নমোহস্তু তে।। “হে দেবদেবেশ, হে শঙ্খ—চক্র—গদাধারী, আপনাকে প্রণাম নিবেদন করি। হে পরমাত্মা, আপনার ভক্তগণের আকাক্সক্ষা পূরণের জন্য আপনি আপনার বিভিন্ন রূপ ধারণ করেন। আপনাকে প্রণাম নিবেদন করি।” (শ্রীমদ্ভাগবত ১০.৫৯.২৫)

সুতরাং, ঈশ্বরের মূর্তি বা প্রতিকৃতি থাকতে পারে না, একথা বেদের কোথাও বলা হয়নি বরং শাস্ত্রের বর্ণনা অনুসারে নির্মিত ভগবানের শ্রীমূর্তি, তাঁরই প্রতিরূপ— একথা বেদে স্বীকৃত।

আবির: তাহলে উক্ত মন্ত্রের সম্পূর্ণ অর্থ কী?

স্বামীজি: শ্বেতাশ্বতর উপনিষদের (৪.১৯) এ মন্ত্রে বলা হয়েছে— নৈনমূর্ধ্বং ন তির্যঞ্চং ন মধ্যে পরিজগ্রভৎ। ন তস্য প্রতিমা অস্তি যস্য নাম মহদ্যশঃ।। “কেউ তাঁর আদি, মধ্য, অন্ত উপলব্ধি করতে পারে না। তিনি গ্রাহ্যাতীত বস্তু। তাঁর কোনো উপমা নেই। তাঁর নাম অনন্ত মহিমাপূর্ণর্।” কিন্তু জনৈক টিভি বক্তা ও কিছু অর্বাচীন পণ্ডিতের কথায় প্রভাবিত হয়ে অনেকে শুধু মাঝের উক্তিটিই তুলে ধরে মন্ত্রের অপব্যাখ্যা করছেন।

   শুক্লযজুর্বেদে ৪০টি অধ্যায়। তার মধ্যে ৩২তম অধ্যায়টি উৎসর্গ করা হয়েছে বায়ু, সূর্য, চন্দ্র এবং অগ্নির উদ্দেশ্যে। সেখানে প্রশংসা করা হয়েছে বরুণ, বৃহস্পতি এবং ইন্দ্রের। সেখানে ভগবানের প্রতিকৃতি নিয়ে কিছু বলা হয়নি। সেখানকার ৩২.৩ শ্লোকটিতে বলা হয়েছে— “ন তস্য প্রতিমা অস্তি যস্য নাম মহৎযশঃ  হিরণ্যগর্ভ ইত্যেষ মা মা হিংসীদিত্যেষা যস্মান্ন জাত ইত্যেষঃ।। ” অর্থাৎ “ভগবানের তুলনা দেওয়ার কিছু নেই। তাঁর মহৎ যশ আছে। ‘তিনি হিরণ্যগর্ভ’, ‘তাঁর প্রতি অসূয়পরায়ণ হয়ো না’, ‘তাঁর থেকে থেকে ইন্দ্র প্রভৃতি দেবতাগণ জাত, তিনি স্বরাট’ ইত্যাদি বাক্যে ভগবানকে বোঝানো হয়েছে।”

  শ্লোকটিতে প্রকৃতপক্ষে বলা হয়েছে— দেব—দেবীদের উৎস সম্পর্কে। ভগবানের সাথে (তাঁর সৃষ্ট) দেবদেবীদের কোনো তুলনা দেওয়া চলে না। তিনি সৃষ্টির আদি। কিন্তু বেদে কোথাও বলা হয়নি যে, ভগবানের প্রতিমা বা প্রতিকৃতি তৈরি করা যাবে না। উক্ত মন্ত্রে প্রতিমা অর্থে শ্লোকের পূর্বে ও পরে মূর্তির কোনো প্রসঙ্গই নেই, সেখানে একশ্রেণির প্রতারক শব্দের যথার্থ অর্থ না বুঝে অর্ধকুক্কুটির ন্যায় কেবল আংশিক অর্থ করে শাস্ত্রের অপব্যাখ্যা করছে। যারা বেদের ‘প্রতিমা’ শব্দ দ্বারা কেবল প্রতিকৃতি বা মূর্তিকে বোঝেন এবং শুক্ল যজুর্বেদের ন তস্য প্রতিমা অস্তি মন্ত্রাংশ দেখে যারা ভ্রান্তিবশত মনে করেন— ঈশ্বরের মূর্তি বা প্রতিকৃতি নেই, তাদের জানা প্রয়োজন যে, শুক্ল যজুর্বেদেই বলা হয়েছে যে, ঈশ্বরের সহস্র সহস্র তথা অসংখ্য প্রতিমা রয়েছে— “সহস্রস্য প্রতিমাং” (১৩.৪১), “সহস্র প্রতিমাহসি” (১৫.৬৫)। বেদে (বৃহাদারণ্যক ২.৩.১) বলা হয়েছে— “মূর্তঞ্চৈবামূর্তঞ্চ”—এক ও অদ্বিতীয় পরমব্রহ্ম মূর্ত ও অমূর্ত উভয় রূপেই বিদ্যমান। অর্থাৎ, নিরাকার ব্রহ্মস্বরূপে তাঁর কোনো মূর্তি নেই, আবার ষড়ৈশ্বর্যপূর্ণ ভগবানস্বরূপে তিনিই অনন্তমূর্তি। সুতরাং, যদি বেদে কোথাও বলা হয়েও থাকে যে, ব্রহ্মের কোনো প্রতিমা, মূর্তি বা প্রতিকৃতি নেই, তাহলে বুঝতে হবে তা পরমেশ্বরের নিরাকার ব্রহ্ম—স্বরূপের ক্ষেত্রে বলা হচ্ছে, অন্যথা তা বেদের অন্যান্য মন্ত্রের বিরুদ্ধ হয়। কারণ, বেদে বহু প্রমাণ রয়েছে যে, পরমব্রহ্ম মূল স্বরূপে সাকার এবং সেই এক পরমেশ্বর অসংখ্যরূপে নিজেকে প্রকাশ করেন (বিস্তারিত: অমৃতের সন্ধানে জুলাই—সেপ্টেম্বর ২০২১ ও জুলাই—ডিসেম্বর ২০২০)। অতএব, সেই সাকার স্বরূপের অসংখ্য মূর্তি প্রতিমা রয়েছে।

আবির: স্বামীজি, আপনার ব্যাখ্যা অত্যন্ত প্রাঞ্জল ও যুক্তিযুক্ত। অথচ কিছু লোক বাক্চাতুর্যের দ্বারা মিথ্যাকে সত্য বলে প্রমাণের অপচেষ্টা চালাচ্ছে। শাস্ত্রের অপব্যাখ্যার দ্বারা তারা আমার মতো ব্যক্তিদের বিভ্রান্ত করছে। যারা ধর্মের নামে অনাচারে লিপ্ত, তারা শাস্ত্রের অর্থ কী বুঝবে! তাই আমাদের যার তার কথায় বিভ্রান্ত না হয়ে, চোখ কান খোলা রেখে উপযুক্ত ব্যক্তির কাছ থেকে শাস্ত্রসিদ্ধান্ত জানা উচিত।

—হরেকৃষ্ণ

[বি.দ্র. মূর্তিপূজা বিষয়ক বিভ্রান্তিকর সকল প্রশ্নের উত্তর জানতে সংগ্রহ করুন ‘মূর্তিপূজার রহস্য’ গ্রন্থটি।]

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *